December 23, 2024, 10:47 am

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বার বিপদ সংকেত।

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, May 20, 2020,
  • 265 Time View
  • ইমাম খাঁন হিমেল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাসহ সমুদ্র উপকূলজুড়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফন অতি প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। দ্রুতই শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে এ ঘূর্ণিঝড়টি। এর ফলে ক্রমশই কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বার বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৬৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া পায়রা বন্দর এলাকায় একটি বহুতল ভবন ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। ২০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন এ উপজেলায় ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। ঘূর্নীঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সোমবার রাত ৯ টায় উপজেলা পরিষদের দরবার হলে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১১ ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান ও সরকারী কর্মকর্তারা কলাপাড়া প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিয়ে সংকটে পড়েছেন সমুদ্র উপকূলীয় মানুষ। ঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এ ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের চোখ-মুখে। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটায় ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিবি) সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান জানান,ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পায়রা বন্দর থেকে বর্তমানে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রর ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ২২৫ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ- নদীর পানির উচ্চতা ১০থেকে ১৫ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছেন।

আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, এ এলাকার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যা ছিল তার বেশির ভাগই শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আলীপুরের আবাসিক হোটেল গুলো জেলেদের আশ্রয়ের জন্য ছেড়ে দয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো আবুল বাসার জানান, তাদের ১৬০ টি প্রথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখার জন্য স্ব-স্ব বিদ্যালয় প্রধানদের বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান,ঘূর্নীঝড় আম্ফান মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71